সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশিত: ৩০/১০/২০২৪ ৮:৫৫ পিএম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সারাদেশে নৈরাজ্য ও সহিংসতা চালিয়ে দেশকে বিরাজনীতিকরণের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। যার ফলে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ভোটাধিকার সাড়ে পনেরো বছর নির্বাসিত হয়ে পড়েছিল। দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আ’লীগ ক্ষমতায় এসে বিডিআর বিদ্রোহের নামে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের হত্যা করে দেশের নিরাপত্তা কে নড়বড়ে করে দিয়েছিল। জামায়াত নেতৃবৃন্দ কে বিচারের নামে প্রহসনের মাধ্যমে ফাঁসি দিয়ে ইসলামী চিন্তা- চেতনা, তাহজীব -তামাদ্দুনকে দাবিয়ে রেখেছিল। ৫ আগস্ট ছাত্র -জনতার গণঅভ্যুত্থানে সাড়ে পনেরো বছরের ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থার অবসান হয়েছে; কিন্তু এখনো তাদের রেখে যাওয়া দোসরদের ষড়যন্ত্রের কারণে আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের সুফল জনগণ ভোগ করতে পারছেনা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আইন শৃংখলার অবনতি, লোডশেডিং এখনো জনগণের পিছু ছাড়ছে না। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রামু উপজেলা শাখা আয়োজিত ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় চৌমুহনী স্টেশন চত্বরে অনুষ্ঠিত ২৮ অক্টোবর শহীদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। উপজেলা আমীর ফজলুল্লাহ মোহাম্মদ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী, নায়েবে আমীর মুফতী মাওলানা মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, জেলা জামায়াতের শূরা সদস্য ও সাবেক সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল আলম বাহাদুর। প্রধান অতিথি আরো বলেন, এখনো বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈষম্য বিরাজমান। আমরা যদি সত্যিকার অর্থে বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চায় তাহলে আমাদের কে ইসলামের ন্যায় ও ইনসাফ মেনে চলতে হবে। একমাত্র ইসলামী আদর্শ ‘ই বৈষম্য মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার নিশ্চয়তা দিতে পারে। তাই জামায়াতে ইসলামী সমাজ থেকে সকল ভেদাভেদ তুলে একটি সত্যিকারের বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণের মহড়া উল্লেখ করে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। উপজেলা সেক্রেটারি আ ন ম হারুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ রফিক, সহ- সেক্রেটারি মাওলানা নূরুল হাকিম, উলামা বিভাগ সভাপতি মাওলানা বশির উদ্দিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ মোক্তার আহমদ, যুব বিভাগ সভাপতি মাহবুবুর রহমান, স্থানীয় জামায়াত নেতা মাওলানা হাবিবুল্লাহ, আব্দুল্লাহ আল মামুন সেলিম, সোহরাব হোসেন, জোয়েল চৌধুরী ও ছাত্রনেতা ইরাক মিয়া।

পাঠকের মতামত

অপহরণের পর মুক্তিপণের জন্য বাবাকে শোনানো হচ্ছে নির্যাতনের আর্তনাদ

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থেকে কক্সবাজার আসার পথে অপহৃত তরুণ রিয়াজুল হাসানকে (১৮) ধারাবাহিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। ...

ফেসবুকে শাহজালাল বাবলুর স্ট্যাটাস নিয়ে , ডাঃ রুমির বক্তব্য ও তীব্র প্রতিবাদ

শাহজালাল বাবলুর স্ত্রী শারমিন হিমু কয়েক মাস ধরে স্বনামধন্য গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আরিফা মেহের রুমির ...